রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ০১:১৮ অপরাহ্ন
মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:: কুয়াকাটায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে দালাল চক্রের মাধ্যমে চলছে অর্থ বাণিজ্য। সেবা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শহর-গ্রামাঞ্চলের অসহায় গ্রাহক। শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের প্রতিটা ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎায়ন’ কর্তৃপক্ষের এ প্রতিপাদ্য বিষয়টাকে কাজে লাগিয়ে কুয়াকাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নিয়ন্ত্রণাধীন দালালরা টাকার লোভে নিজেদের আখের গোচাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুয়াকাটার যে সব বাড়িতে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি, ওই সব বাড়ির লোক সংযোগ নিতে কুয়াকাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গেলে ও সেখানে কোন সু-পরামর্শ ও সহযোগিতা না পেয়ে বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে দালালের কাছে। আর দালালের কাছে কোন মিটারের জন্য গেলে দিতে হয় চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। এই অসাধু চক্রের সাথে জড়িত রয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে দালাল চক্রের মাধ্যমে চলছে অর্থ বাণিজ বলে অনেকের অভিযোগ। কুয়াকাটা সাব-জোনাল অফিসের আওতাধীন শুধু মাত্র লতাচাপলী ইউনিয়নে এ রকম দালাল রয়েছে ১০ থেকে ১২জন। এছাড়া কুয়াকাটা পৌরসভা ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নও রয়েছে। দালালের মাধ্যমে মিটার পেতে কোন রকম কাগজ দিলেই হচ্ছে, আর দালাল ছাড়া গেলে এই কাগজ, সেই কাগজ ইত্যাদির বাহানা। অপরদিকে অনলাইনে ফরম পূরণ করে মিটার পেতে সময় লাগে প্রায় এক থেকে দেড় মাস।
এছাড়া সংযোগকৃত কোন লাইনে কোন ধরণের সমস্যা হলে অফিসে যোগাযোগ করলে তিন চার দিন পরে অফিস থেকে লোক এসে ঠিক করে দেন। আবার অনেক সময় ওই সকল দালাল পাঠিয়ে ঠিক করে দেন, সেখানে দিতে হয় তাদের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ।
ভুক্তভোগী গ্রাহক নাজমা, রিপা বলেন, আমাদের বাসায় কিছুদিন আগে বিদ্যুৎ না থাকার বিষয় কুয়াকাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানালে তারা চার দিন পরে অফিসের বাহিরের লোক পাঠিয়ে সংযোগ ঠিক করে দেন। এতে আমাদের দু‘টি পরিবারের ফ্রিজে থাকা মাছ, মাংস নষ্ট হয়ে যায়। তাতে আমাদের প্রায় বিশ হাজার টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়ে যায়।
আরো ভুক্তভোগি আবুল কালাম, মিজান অভিযোগ করে বলেন, আমার বাসার বিদ্যুৎ সংযোগে সমস্যা দেখা দিলে কুয়াকাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সমাধান পাইনি। যখন আমরা কলাপাড়া উপজেলাধীন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের আওতাধীন ছিলাম, তখন মহিপুরে একটি অভিযোগ কেন্দ্র ছিল, সেখানে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কয়েকজন লাইনম্যান ছিল, তখন আমরা কুয়াকাটা অফিসের চেয়েও ভালো সেবা পেয়েছি।
কুয়াকাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএ মোসারেফ হোসেন প্রতিবেদককে বলেন, এখানে কোন দালালচক্র নেই, মিটারের জন্য আবেদন করতে হয় অনলাইনে। আবেদন পাস হলেই সংযোগ দিয়ে দেয়া হয়।
এ বিষয় জানতে চাইলে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক একুশের কন্ঠকে বলেন, দালালের কাছে না গিয়ে অনলাইনে ফরম পূরণ করলে মিটারের ব্যবস্থা হবে। আর সংযোগে সমস্যা হলে অফিসে অবগত করলে তারা সমাধান করবে। আর না করলে এ ধরনের অভিযোগ থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং অভিযোগকারীদের তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।